ভবদিশ চন্দ্র, জলঢাকা (নীলফামারী): নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম। স্হানীয় মানুষের সেবা করেই যার অলস ভাবে দিন চলে যেতো।
হরিশ্চন্দ্র পাঠ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে রাডারডিপি প্রকল্পের আওতায় বাড়ির পাশে ২০১৮ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের ১০০টি চারা রোপণ করেন। তিন বছরের মাথায় গাছে ফল আসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও ৭০ শতাংশে ১৭৭ টি গাছের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে যার ফলনের বাজার মূল্য আনুমানিক ২৩ লাখ টাকা।
তার মালটার সুনাম ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার অনেক চাষীই নিজেদের আম,কাঁঠালের বাগান কেটে মাল্টায় দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য মাল্টা চাষী আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রথমে তিনি মাল্টা চাষ করতে চাননি। স্হানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একপ্রকার জোরা-জুরিতেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হন।বর্তমানে তার ২৭৭ টি গাছে প্রায় ৫০০ মন মালটার ফলন হয়েছে।মাল্টা হলুদ হতে শুরু হওয়ায় স্হানীয় পাইকাররা প্রতি মন এখনই ৪২০০-৪৫০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, খরচের তুলনায় বেশি লাভ হওয়ায় আগামী বছর আরো কয়েক বিঘা জমিতে ফলন বাড়াবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন,সাবেক ইউপি মেম্বার আশরাফুল একজন তালিকাভুক্ত কৃষক। তিনি খুব অল্প সময়ে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষাবাদে উপজেলায় সবার নজর কেড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় পরামর্শসহ সহযোগিতা করে আসছেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, কোনো ফসলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভজনক মাল্টা চাষে। পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও এই উত্তরের জেলার মাটিতে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। রাডারডিপি প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীতে প্রথম মালটার চাষ শুরু হয়। সাফল্য লাভ হওয়ায় যা আস্তে আস্তে বিস্তীর্ণ লাভ করতেছে।