
মশিয়ার রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌরশহরে সমস্যার অন্ত নেই। শহরের প্রবেশ মুখে ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন কৈমারী সড়কের পাশে পশু জবাই হয়। এতে দুর্গন্ধ ছড়ায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারীদের এই কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০১ সালে এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়। যা বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তরিত করেছে সরকার। এই পৌরশহরে কসাইখানা ও পশু জবাইয়ের নির্ধারিত কোনো স্থান না থাকায় পৌরবাসীর এখন এটাই প্রধান সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরজুড়ে পরিণত হয় কাদা আর জলাবদ্ধতায়। কাদা-জলে যেনো মানুষের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।
পথচারী কয়েকজন জানায়, জানি না গরু-ছাগল জবাইয়ের কোনো নির্ধারিত জায়গা আছে কিনা। তবে শহরের প্রবেশ পথে পশু জবাই করে ময়লা আবর্জনা এবং বর্জ্য ফেলার কারণে এখানে বৃষ্টি পানির সঙ্গে মিশে শহরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একটা প্রথম শ্রেণির পৌরশহরে আমাদের এমনটা প্রত্যাশা নয়। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করি।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ময়লা মিশ্রিত জমে থাকা পানিতে জীবাণু থাকে। এতে এলাকায় মশা-মাছিরও বিস্তার ঘটে। এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ব্যাপক বিস্তার ঘটতে পারে। এসব নিরসনের জন্য সাময়িকভাবে চুন ও পটাশিয়াম প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে মেয়র নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার বাবা (মরহুম ইলিয়াস হোসেন বাবলু)’র স্বপ্ন একটি স্মার্ট পৌরসভা গঠন। পৌরবাসীর কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে।