
মো. ওসমান গনি ইলি, কক্সবাজার: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজারে দিনব্যাপী “নাগরিক বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি কমিটির কার্যক্রম, কমিটি গঠনের নিয়ম, বাজেট প্রণয়ন, ভূমি সংক্রান্ত সেবা, জন্মনিবন্ধন, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ নাগরিক জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি আলোচিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্লাস বাংলাদেশ সোসাইটি-এর প্রধান সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কলিম বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। স্থানীয় সরকারের কার্যকর ভূমিকা ও নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ভয়েস ফর চেইঞ্জ এর জেলা প্রজেক্ট অফিসার আবু সহলাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান গনি (ইলি), GNKBS NGO-র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা দুলারী ইকবাল, আজিজুর রহমান রাজু, ইশতিয়াক হাদীসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা পরিচালনা করেন ভয়েস ফর চেইঞ্জ এর প্রজেক্ট অফিসার শামীমা ইয়াছিন। বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের সিনিয়র অফিসার ইসমত আরা ইয়াসমিন এবং অফিসার বেদনা খাতুন।
এছাড়া একই উদ্দেশ্যে খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত “টেবিল বৈঠক” অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং নাগরিক অংশগ্রহণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন,জনগণকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও জনবান্ধব করতে হবে। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।”
২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলমান এ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের প্রশিক্ষণ ও বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে।
পরিশেষে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাবে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলা সহজ হবে এবং গড়ে উঠবে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও টেকসই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা।