
মো. মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর : দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম চৌধুরী। ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম পর্যায়ে সদর উপজেলা থেকে সামছুল আলম চৌধুরী জেলে থাকাবস্থায় আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনীর কাজ চালিয়েছেন। সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯৩১ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন দিয়েছেন আদালত। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শামসুল আলম চৌধুরীর পরিবার সূত্রে জানা যায, নানা জল্পনা কল্পনা, মিথ্যা বানোয়াট, ষড়যন্ত্রের বাধা উপেক্ষা ৮ মে সদর উপজেলা নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯ শত ৩১ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিজয় সদর উপজেলা বাসীর। আপনারা ব্যালটের মাধ্যমে অন্যায়ের নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে আমার তাকে ভোট দিয়েছেন। একটি কুচক্রী মহল তাকে ভোট থেকে সরাতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তাদের ভালবাসা ও দোয়া সেটি হতে দেয় নাই।
উল্লেখ্য , এর আগে গত ৭ মে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ নাসির ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম সহ এই তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ঐদিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অমিতাভ ও গোলাম মো: নাছিরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপরে শামসুল আলম চৌধুরী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জেল থেকে গত ১৩ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন । সে দিনও শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।