
মো. এরশাদ আলী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: মোড়ে মোড়ে ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে, তিনি সামজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক।
তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি ১৯৪০ সালে উপজেলার বাতুয়া গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ফতেপুর জোবরা গ্রামের মানুষ হতদরিদ্র ও কৃষি নির্ভর ছিলেন। তারা সহজে ঝণ না পাওয়ায় অনেক ভেঙে পড়েন।
১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাদদেশে জোবরা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় ইউনুস আবিষ্কার করেন যে খুব ছোট ঋণ দরিদ্র মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তৈরি করতে পারে। গ্রামের মহিলারা যারা বাঁশের আসবাব তৈরি করতেন, তাদের বাঁশ কিনতে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হতো এবং তাদের লাভ ঋণদাতাদেরকে দিতে হতো। প্রথাগত ব্যাংকগুলো দরিদ্রদেরকে উচ্চ ঋণখেলাপির ঝুঁকির কারণে যুক্তিসঙ্গত সুদে ছোট ঋণ দিতে চায়নি। কিন্তু ড. ইউনুস বিশ্বাস করতেন যে, সুযোগ পেলে দরিদ্ররা উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হবে না, তাদের নিজেদের পরিশ্রমের লাভ রাখতে পারবে নিজেরাই, সেজন্য ক্ষুদ্রঋণ একটি কার্যকর ব্যবসায়িক মডেল হতে পারে। ইউনুস তার নিজের টাকা থেকে ২৭ মার্কিন ডলার ঋণ দেন গ্রামের ৪২ জন মহিলাকে, যারা প্রতি ঋণে ০.৫০ টাকা (০.০২ মার্কিন ডলার) লাভ করেন। সেজন্য ইউনুসকে ক্ষুদ্রঋণের ধারণার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
দরিদ্র কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নবযুগ তেভাঁগা খামার যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে। প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করতে ইউনুস এবং তার সহযোগীরা ‘গ্রাম সরকার’ কর্মসূচি প্রস্তাব করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানার পেস্টন দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, জোবরা গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে, গ্রামবাসীর স্বপ্নের দোয়ার খুলেছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
খামারের দায়িত্বে থাকা সভাপতি মো. নুরুল আলম বলেন আমি দীর্ঘদিন স্যারের প্রতিষ্ঠিত তেভাগা খামারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। স্যারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করায় জোবরাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।












