
নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে মন্ডপে মন্ডপে ষষ্ঠী পূজা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। জেলায় এবার ২শ ৯২ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের জন্য সরকারি ভাবে ১ শ ৪৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুূগোৎসবকে সামনে রেখে জেলার সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়েছে সাজ সাজ রব।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুূর্র্গোৎসব উদযাপনে রং তুলির শেষ আঁচড় পড়ে শুক্রবার পর্যন্ত। জেলার দুর্গা মন্ডপ গুলোকে সাজানো হয়েছে মনোরম সাজে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য ছাড়াও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যরা প্রতিমা পাহারার ব্যবস্থা করছেন। প্রতিটি দুর্গামন্ডপে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট্য শান্তি কমিটি গঠন ও ২৫ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলার গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে জেলায় এবার ২শ ৯২ টি মন্ডপে দুূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদরে ১১৩টি, কালাই উপজেলায় ৩৪ টি, ক্ষেতলাল উপজেলায় ২৮ টি , আক্কেলপুর উপজেলায় ৪৫ টি ও পাঁচবিবি উপজেলায় ৭২ টি। দুুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের জন্য সরকারি ভাবে ১ শ ৪৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল করিম। কাপড়ের দোকান ও শপিংমল গুলোতে দুূগোৎসবকে সামনে রেখে জেলার সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কেনা-কাটার ধূমসহ সাজ সাজ রব পড়েছে। দুর্গা প্রতিমায় রং করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান মাদারগঞ্জ দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সত্যানন্দ চৌধুরী। আজ ১ অক্টোবর সকালে ষষ্ঠী পূজা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে বলে জানান, দুর্গোৎসব কমিটির আহবায়ক লিটন চৌধুরী। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিটি দুর্গা মন্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, সাদা পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পুলিশ ও র্যাবের টহল দল থাকবে। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে সার্বক্ষণিক। দুূর্গোৎসব সফল করতে পুলিশের একটি মনিটরিং টিমও কাজ করবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।












