
কবির হোসেন, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ডোবার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেহের বাকি অংশের এখনও সন্ধান মেলেনি। মাথার খুলিটি ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু শর্মিলার কিনা এ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। তবে ঘটনাস্থলে মিলেছে নিখোঁজ হওয়া শিশুর জামা।
এদিকে পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাথার খুলিটি কার।
সোমবার উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়া পূর্বপাড়া এলাকার ধানখেত থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এ মাথার খুলিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় ডোবার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ টানাটানি করছিল কুকুর। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাংসের টুকরো। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল চারদিকে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ১০ বছরের ফুটফুটে শিশু নওসিন ইসলাম শর্মিলার বাড়ি। গত ২৬ মে নিখোঁজ হয় খেলতে গিয়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, মাথার খুলিটি শিশু শর্মিলার। তবে দেহের অন্যান্য অংশের এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি। কোথায় রয়েছে বাকি অংশ এ নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপরই এর রহস্য উদঘাটন হবে।
নিহত শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া বলেন, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে। কুকুর টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পরনের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।
নিহতের বাবা সুমন মিয়া বলেন, কারোর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কেউ মুক্তিপণ বা টাকা চায়নি। বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাইনি। সকালে বাড়ির পাশে ধানখেতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে লোকজন খবর দেয়। এর আগে ওই বস্তাটি কুকুর টানাটানি করছিল। যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
ভূঞাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, বস্তাবন্দি একটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে।