রুহুল আমিন বাবু, বাগেরহাট: বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে শহরে হাটু পানি, জলাবদ্ধতায় বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। হাট বাজার, রাস্তাঘাট গ্রাম-শহর অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। বিভিন্ন সড়কের উপর পানি থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
শুক্রবার বিকেল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাগেরহাটে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকুল জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগরে থাকা মাছধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
রোববার দুপুরে বাগেরহাট শহর ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ এলাকার অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাগেরহাট মিঠাপুকুরের কচুরিপানা ভেসে আসছে পাকা সড়কে ও বাসাবাড়িতে ।
সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।বিড়ম্বনায় পড়েছে শহর ব্যবহারকারীরা। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ম আয়ের মানুষ।
অন্যদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার বেশকিছু এলাকায় মৎস্যঘের ডুবে মাছ বের হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি আরো দু-একদিন স্থায়ী হলে এসব এলাকার বেশিরভাগ ঘের ডুবে যাবে বলে দাবি মাছ চাষীদের।
ইজিবাইক চালক মোস্তফ বলেন, প্রাকৃতি দুর্যোগে লাগাতার বৃষ্টিতে পৌরশহরের প্রায় সকল অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর আসেনি। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব বাড়লে মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।