
মিহির মন্ডল, পিরোজপুর: পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী উপজেলার আউরিয়া গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মেয়ে। তিনি অকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের ৬নং আউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পাত্রপক্ষের কাছে নিহতের টপস ও টি-শার্ট পরিহিত একাধিক ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছেলে পক্ষের কাছে পাঠালে পাত্রপক্ষ ওই বিয়ে ভেঙে দেয়। সেই কারণে তিনি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহতের বাবা মো. জাহিদ হোসেন জানান, গত এক মাসে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের তারিখও পড়েছে। ছেলে পক্ষের কাছে একটি টপস ও টি-শার্ট পরিহিত ছবি কে বা কারা পাঠিয়েছে জানি না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এটা আমার মেয়ে সহ্য করতে পারিনি। তাই কাউকে না জানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সন্ধ্যার পূর্বেও স্থানীয় চাচা আইয়ুব আলীর দোকান থেকে আমার মেয়ে মোবাইলের জন্য এমবি কার্ড কিনে বাসায় এসে কার সাথে যেন ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করেছে শুনতে পেরেছিলাম।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই তিনি মারা যান। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে গেছেন।
নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনা সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। রোববার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে।