
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ডলফিন নদীর সুস্থতার প্রতীক। ডলফিন বাঁচলে নদী বাঁচবে, নদী বাঁচলে মানুষও বাঁচবে। ডলফিন নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের বেঁচে থাকার কথাই বলা।
রোববার আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নদীর পানি যদি দূষিত হয়, তবে তা যেমন ডলফিনের জন্য বিপদ, তেমনি মানুষের জন্যও। নদী পরিষ্কার রাখাই মানুষ ও ডলফিনের সুস্থ জীবনের অন্যতম শর্ত। তিনি বলেন, আমরাই নদীগুলোকে দূষিত করছি, আবার নিজেদের সভ্য জাতি দাবি করছি-এটা পরস্পরবিরোধী। ডলফিনের সংখ্যা বাড়লে বুঝতে হবে আমরা নদী রক্ষা করছি আর কমলে বুঝতে হবে নদীগুলোকে বিপদে ফেলেছি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সমাজকে দাঁড়াতে হবে। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মঙ্গল একসূত্রে গাঁথা। আমরা যদি প্রাণীদের বাঁচাই, প্রকৃতি আমাদেরকেও বাঁচাবে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় বনবিভাগকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এতে প্রাণী উদ্ধার ও সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বন সংরক্ষক মোঃ ছানাউল্যা পাটওয়ারী, ডাব্লিউসিএস বাংলাদেশের ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ড. মোঃ ইশতিয়াক সোবহা, এবং সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।
পরে ‘গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ হ্যান্ডবুক’-এর মোড়ক উন্মোচন ও ডলফিন বিষয়ক শিক্ষামূলক প্রদর্শনী করা হয়।












