
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী ডিমলায় আলোচিত (৮) বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি ডিমলা থানা পুলিশ।
শিশুটি পিতা সোহেল রানা মিলন (মামলার বাদী) অভিযোগ করে বলেন, আমার শিশুকন্যা ধর্ষনের বিষয়টি তাৎক্ষনি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমি আমার ধর্ষিতা শিশুকন্যাটিকে রক্তাক্ত জখমি অবস্থায় প্রথমে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তিনি আরও জানান আমার শিশুকন্যার চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকা গত (১৯ মে) ডিমলা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ মাত্র একদিন আসামীর বাড়ীতে গিয়েছে। আসামী কেন গ্রেফতার করা হচ্ছেনা এ বিষয়ে ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজু মিয়া আমাকে বলেন, আমরা নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা শেষ হলে বিষয়টি দেখবো।
ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলা হওয়ার পরে আসামির বাড়িতে পুলিশ একদিন যাওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাজু মিয়া বলেন, মামলা করতেই বাদী দেরি করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে একদিন যাওয়ার কথা তিনিও স্বীকার করে বলেন, ২১ মে ভোটের ডিউটিতে ছিলাম। ২২মে থানায় এসেছি আসামি ধরার চেষ্টা চলমান রয়েছে। খোঁজ পেলে আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় এমনকি (থানা এলাকার) মধ্যেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ও আসামিদের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে তারা তাদের স্কুল/কলেজ পড়ুয়া কন্যা সন্তানদের নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। এর জন্য ডিমলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা বলছেন।
উল্লেখ্য, ডিমলায় ৬ দিনের ব্যবধানে দুটি ধর্ষণ হয়েছে (১১ মে) ডিমলা থানা এলাকায় ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং ধর্ষন করে। অপর দিকে ৬ দিন পরে (উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী (মাষ্টারপাড়া) গ্রামে (৮) বছরের এক শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হলে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।
৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অন্য দুই আসামিকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করলেও ৬ দিনেও (১নং) মূল আসামিকে ডিমলা থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মামলার মুল আসামি (শীবমন্দির) পাড়ার শ্রী কৈলাশ দাস মঙ্গুর ছেলে শ্রী প্রমিত দাস (১৭) নিজেই গত ১৬ মে নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে যশোর জেলার সংশোধনাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।