ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার যানজট ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। এই দু্ই দিন যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। কিন্তু আজ বুধবার যানজট আরও বেশি দেখা গেছে। ভোর পাঁচটা থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের ত্রিশাল থেকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সকাল থেকেই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষজন।
বুধবার দুপুরে সৌখিন পরিবহনের চালক রব্বানী সমকালকে বলেন, সকাল ছয়টায় মহাখালী টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে বাসটি ছাড়েন। একদিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। ত্রিশাল পর্যন্ত আসতেই পৌনে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তীব্র যানজটের কারণে আব্দুল্লাহপুরেই দেড় ঘণ্টা আটকে ছিলেন বলে জানান ইসলাম পরিবহনের চালক শিমুল সাজ্জাদ। তিনি মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাসটি ছেড়েছিলেন সকাল পৌনে সাতটায়। রাস্তার করুণ দশার কারণে এই যানজট বলে তিনি জানান।
শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক মফিজ উদ্দিন জানান, তিনি সকাল ৭টায় জামালপুরের উদ্দেশে বাসটি ছেড়েছিলেন। ত্রিশালে পৌঁছান দুপুর সোয়া একটায়। যানজটে নাকাল চালক-যাত্রী সবাই।
এই পরিবহনের যাত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আশিক জানান, মা ও বোনকে নিয়ে সকাল পৌনে সাতটায় উঠেছিলেন বাসে। সড়কে তীব্র যানজট ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন বাসে। ত্রিশাল থেকে বালিপাড়া হয়ে তারা যাবেন নান্দাইলে। অপর যাত্রী ত্রিশালের হরিরামপুরের সারোয়ার বলেন, যানজটের কারণে চরম ভোগান্তির যাত্রা ছিল এটি।
ত্রিশাল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন বলেন, চার রাস্তার মোড়ে ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মাঝেমধ্যে ক্ষণিকের জন্য যানজট দেখা যাচ্ছে। তবে ঢাকায় ফিরতে ও বের হতে বেশি যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে বলে জেনেছি।