যায়যায়কাল প্রতিবেদক: গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক (জাসদ) দলের পাঁচ নেতার কুশপুতুল প্রতীকী ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে ‘ছাত্র জনতার ফাঁসির মঞ্চে’ এই প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়।
সেখানে ফাঁসির মঞ্চে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ছবি দিয়ে পাশাপাশি কুশপুত্তলিকা রাখা হয়। এরপর কাউন্ট ডাউনের পর মঞ্চের পর্দা তুলে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন,আমরা চাই সরকার আমাদের এ প্রতীকী ফাঁসি দেখে গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডদের দ্রুত গ্রেপ্তা করে ফাঁসি নিশ্চিত করে বিচার করুক।
তিনি বলেন, যারা গণহত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে, গণহত্যা করেছে তদের রাজনৈতিক অপতৎপরতাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা ২০২৪ এর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং এমপি-মন্ত্রী হয়েছে তাদেরও বিচার করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের কথা তুলে ধরে ইয়ামিন বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন। তারা বাবা-ভাই-বোন- সন্তান হারিয়েছেন। তারা তো আর ফিরে আসবে না। তাহলে কেন আওয়ামী লীগ জাপা ফেরত আসবে? তাহলে কেন শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ফিরে আসবে? জিএম কাদের-মেনন-ইনুরা কেন ফিরে আসবে?
আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে ইয়ামিন বলেন, আপনারা গণ অভ্যুত্থানের স্পিরিট এর সাথে বেঈমানী করবেন না, এ স্পিরিটকে কলঙ্কিত করবেন না।
সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের কারাগারে বিশেষ মর্যাদা না দেওয়ার দাবি জানান ইয়ামিন।
যাদেরকে জেলে নেওয়া হয়েছে, তাদেরকে যেন জামাই আদর করা না হয়। তাদেরকে যেন ডিভিশন দেওয়া না হয়।
বিগত সরকারের আমলে গুম-খুনে এবং আন্দোলনে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ইয়ামিন।