মামুন-উর-রশিদ, কুড়িগ্রাম: গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামে ছাত্র নাগরিকের সাথে বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে কুড়িগ্রাম জেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সাথে মতামত বিনিময় করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
সকালের দিকে তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। পরে বিভন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে মন বিনিময় করেন। পরে বিকেলে কলেজ মাঠে ছাত্র-জনতার মুখে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও আশা আকাঙ্খার কথা শোনেন তারা।
প্রতিটি জেলায় সফরের অংশ হিসেবে সোমবার রাতে কুড়িগ্রামে আসেন আবু সাইদ লিয়ন, তারিকুল ইসলাম, রকিব মাসুদ, এস আই শাহিন, মুনতাহিনা মাহজামিন মোহনা, আব্দুল মুলঈম, মিশু আলী সুহাস, মো. জহির রায়হান, ফিজাদুর রহমান দিবস, সুমন বসনিয়া, সজিব ইসলাম, আব্দুর রফিক। মোট ১২ জন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের একটি প্রতিনিধি দল।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুনতাহিনা মাহজামিন মোহনা ও মিশু আলী সুহাস জানান, বৈষম্যবিরোধী চাত্র আন্দোলনের ৯টি প্রতিনিধি দল গোটা বাংলাদেশের জেলা ও বিভাগগুলোতে সফরে বের হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেশের মানুষের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
গণঅভ্যুথানে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতার দাবি ও প্রত্যাশা জানাই এই সফরের উদ্দেশ্য। সমন্বয়করা আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার যে অবদান তার ভিত্তিতেই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা হবে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে প্রত্যেক জেলায় জেলায় আমাদের এই চলমান সফর। তরুণ প্রজন্মের মতামত জানা এবং তা বাস্তবায়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।
