শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

থানচিতে পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি (বান্দরবান): বান্দরবানের থানচিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের আনাগোনা চাপ থাকলেও বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের আসার একদমই কমে গেছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে ভ্রমণে আংশিক নয়, রেমাক্রী ও ঙাফাখুম পর্যন্ত খোলার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, থানচির তুমা-তুঙ্গী ও তিন্দু পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। পর্যটক ভ্রমণে আংশিক পর্যটন স্পষ্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নির্দেশিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না। দীর্ঘ ১৩ মাস পর আংশিক এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ঈদের ছুটি দিনের পর্যটকদের আনাগোনা চাপ বেশি ছিল। এখানকার অর্থনীতি কিছুটা হলেও সচল হচ্ছে।

এদিকে পর্যটন শিল্পের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পথপ্রদর্শক, নৌকা মাঝি, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও গাড়ি চালকসহ পর্যটনশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের জীবনে নেমে আসে চরম আর্থিক সংকট। ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন ভ্রমণপিপাসুদের ঢল থাকলেও বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনায় একদমই কমে গেছে।

অন্যদিকে থানচিতে ভ্রমণের শুধু আংশিক এলাকা নয়, এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলার সব পর্যটন স্পট পুরোদমে খুলে দিলে ভ্রমণ করতে আগ্রহ বাড়বে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। রেমাক্রী ফলস, ঙাফাখুম, সাতভাই খুম, ভেলাখুমসহ অসংখ্য ঝর্ণা ও পাহাড় যেন পর্যটকদের অপেক্ষায় রয়েছে।

থানচি গাইড সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, “অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে পর্যটন শিল্প। দফায় দফায় বন্ধ থাকার কারণে এখানকার পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছিল। তবে আংশিক এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লেও কমে আসছে বর্তমানেই। রেমাক্রী ও নাফাখুমের ভ্রমণে সুযোগ দিলে খুব দ্রুতই এখানকার অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।”

থানচি উপজেলা গাইড সমিতি সভাপতি ইমন ম্যানুয়েল ত্রিপুরা বলেন, পর্যটন স্পষ্ট আংশিকভাবে খুলে দিয়েছে, স্পষ্টগুলো কিন্তু উপরে অন্যান্য জায়গাতে, তিন্দুতে তেমন পর্যটন নেই। অন্যান্য স্পষ্টগুলো খুলে দিলে পর্যটক চাপ আনাগোনা ও পর্যটকদের ঢল প্রচুর সমাগম থাকতো। এবং এখানকার স্থানীয়দের অর্থনীতি আবারও চাঙ্গাভাবেই সচল হবে।

থানচি থানার অফিসার (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, সীমিত পরিসরে আংশিক দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *