
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এই সফরের বিষয়ে কোনো তথ্য বা ব্যাখ্যা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে আগে জানানো হয়নি উল্লেখ করে নোটিশে এই সফরের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের দুই শীর্ষ নেতার কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার পাঁচ নেতাকে এই নোটিশ দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত নোটিশগুলো পাঠান। পরে তিনিই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া এই পাঁচ নেতা হলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ (তাসনিম জারার স্বামী)।
এই পাঁচ নেতাকে পৃথক পৃথকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও নোটিশগুলোর ভাষা একই। এতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে আগে অবগত করা হয়নি। এমন অবস্থায় আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ দিনে এনসিপির ওই পাঁচ নেতা গতকাল হঠাৎ কক্সবাজারে যান।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এই পাঁচ নেতা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর তাঁরা প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে উখিয়ার ইনানী সৈকতের পাঁচ তারকা হোটেল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-তে (আগের নাম রয়েল টিউলিপ) ওঠেন।
এনসিপির পাঁচ নেতার হঠাৎ কক্সবাজার আগমনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা তৈরি করে। এটাকে কেন্দ্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি হয়।
এমনকি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলেও গুজব ছড়ানো হয়। যদিও পিটার হাস বাংলাদেশে থাকার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি ওয়াশিংটনেই আছেন বলে পরে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।