
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার শিবগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম। যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নির্বাচনে না এলেও বগুড়ায় এই নেত্রী নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দিয়েছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আসনের শরিকদের ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন শিবগঞ্জের পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে গিয়ে তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে জোটের শরিক দল জাপার কাছে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়েছে মানিককে। এজন্য মানিকসহ তার অনুসারীরা কষ্ট পেয়েছিলেন।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছিলেন বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম। তবে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নির্বাচনে না এলেও বগুড়ায় বিএনপির নেত্রী বিউটি বেগম নির্বাচনে অংশ নেয়। তাহলে তো বিএনপি দলের সাথে নেতাকর্মীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেই বিএনপির আখ্যা দেওয়া ডামি নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবগঞ্জ- ২ থেকে অংশগ্রহণ করেছেন।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নির্বাচনী প্রার্থী বগুড়ার বিউটি এখন বিএনপি নেত্রী সাজার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু নেতাকর্মী।
তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির এই নেত্রী বিউটি বেগম দোষারোপ করছেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এমনি একটি ভিডিও বিউটি বেগম নামের তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ঘোরপাক খাচ্ছে।
সেই ভিডিও বার্তায় বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘সবার অপরাধ মাফ পেল, আমি কেন শাস্তি পেলাম। আমি অনেক বার জেলার নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করেছি। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। তখন আমি দলের সাথে না, মীর শাহী আলমের ওপর রাগ করে নির্বাচন করলাম। জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।’