
খান মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম আলীর আদালত শুনানি শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠান।
আসামিরা হলেন, বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফা, মো. আমিনুল ইসলাম ও মো. রেজাউল করিম শেখ।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম আলীর আদালতে ওই পাঁচ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন শুনানি শেষে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ভগিরতপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী জহুরা বেগম বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দিনাজপুর নির্বাচনী আসন-১ (বীরগঞ্জ কাহারোল) তৎকালীন মনোনীত সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপালসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৯৯/১০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগ করা হয়, গত ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দুপুরে ওই উপজেলার ভেলাপুকুর নামক স্থানে জহুরা বেগমের ছেলে সালাউদ্দিন ও তার বন্ধু আসাদুল হককে মনোরঞ্জনশীল গোপালের হুকুমে এজাহারনামীয় আসামিরা আটক করে।
এরপর সালাউদ্দিন ও আসাদুলকে শিবির শিবির বলে চিৎকার করে তাদের বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তায় ফেলে রেখে আসামিরা চলে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় আসাদুল ও সালাউদ্দিনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যায় সালাউদ্দিন মারা যায় এবং পরদিন ৬ জানুয়ারি আসাদুলের মৃত্যু হয়।
এই দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় সে সময় সদর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।