খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: চাঁদাবাজি, অপহরণ, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
দিনাজপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতা মো. শাহীনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তার স্ত্রী আসমা উল হুসনা বুবলী সোমবার এই মামলা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে একই অভিযোগ এনে দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় নিমতলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে আসমা বলেন, ‘১৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব শুক্রতার জের ধরে মাতাসাগর এলাকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদের নির্দেশে আসামী আব্দুল কায়ুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোহেল হোসেন ও ফরহাদ রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবদুর রাজ্জাক, ছাত্রদল সভাপতি রেজাউর রহমানসহ আরও কয়েকজন রাজারামপুর এলাকার বাসিন্দা সাঈদ ইসলাম, রিসাদ ইসলাম ও দেবেন তিরকীকে অপহরণ করে শেখপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলামের বাসায় আটকে রেখেছিলেন। পরে দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা চাঁদা।’
‘লোক মারফত জিম্মি করে বিষয়টি জানতে পেরে আমার স্বামী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেল আলী চৌধুরী, হেলাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন তাদের উদ্ধার করতে যান।’
‘সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল মাতাসাগর এলাকায় বখতিয়ার আহমেদ কচির নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বিএনপির অপর পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা মো. শাহীন, তার ছেলে আহনাফ তাসীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হেলালউদ্দিন, রাসেল আলী চৌধুরী লিমন।’
আসমা উল হুসনা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বর্তমানে আমার স্বামী দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এবং ছেলে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।’
এ বিষয়ে প্রশাসন ও দলের কাছে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি বলেন, ‘জোরপূর্বক আমার বিরুদ্ধে দলের একটি পক্ষ মিথ্যা চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছিলেন। এখানে অপহরণের বিষয়টি মিথ্যাচার। ছাত্রদল নেতা আহত শাহীনের স্ত্রী আসমা উল হুসনার অভিযোগ সঠিক নয়।’
এদিকে আদালত কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেনকে বিষয়টি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।