খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলার জের ধরে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন মো. রাসেল ও তার পরিবার।
গত ৯ নভেম্বর মাথার সমস্যার কারণে ওষুধ কিনতে মেডিকেলে গিয়েছিলেন রাসেল ও তার সঙ্গী মো. রবিউল। জনতার সন্দেহে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হলে এসআই নাজমুল মুঠোফোনে রাসেলের অভিভাবককে জানান, “রাসেল কি আপনার ছেলে?’ অভিভাবক ইতিবাচক সাড়া দিলে এসআই নাজমুল তাকে মেডিকেলে আসতে বলেন। কিন্তু অভিভাবক শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি।
পরে রাসেলের অভিভাবক থানায় গিয়ে মামলা সংক্রান্ত বিবরণী পর্যবেক্ষণ করলে বিস্মিত হন। সেখানে দেখা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মে রাত ১১:৫৫ মিনিট থেকে ১৯ মে সকাল ৭:০০ টার মধ্যে। মামলার আসামির তালিকায় ১৪ জনের নাম থাকলেও ১১ ও ১২ নম্বরের পরে আরও দুইজনের নাম অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা নিয়ে পরিবারের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
মামলার বাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আনোয়ার হোসেন খোকন (৪০), পিতা মৃত শরিউল্লাহ, গ্রাম উপশহর ১, থানা দিনাজপুর সদর, জেলা দিনাজপুর। তবে এই ব্যক্তি রবিউল এবং রাসেলকে চেনেন কিনা তা স্পষ্ট নয় এবং এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পরিবার।
থানা সূত্রে জানা যায়, এটি একটি পেন্ডিং মামলা। নতুন ওসি মতিউর রহমান জানান, ‘বিষয়টি যদি আগে জানতাম, এই ঘটনা ঘটতো না।’ তিনি রাসেলের পরিবারের প্রতি আশ্বাস দেন যে চার্জশিটের সময় রাসেলের নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, এসআই মো. জহিরুল ইসলামও এই ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বীকার করেন।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্রসমাজ পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, কিন্তু এখনো কিছু কর্মকর্তার আচরণ জনবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এর ফলে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
পুলিশের ভুল ও পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার রাসেলের পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট করজোড়ে আবেদন জানিয়েছে। তারা আশা করছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হয়রানিমূলক এ ঘটনার উপযুক্ত সুরাহা হবে।