শুক্রবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

দিরাইয়ে ধান কাটার মেশিন আটক করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

মো. বদরুজ্জামান বদরুল, স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জটিচর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সুহেল মিয়া’র একটি ধান কাটার মেশিন ( হারবেষ্টার) আটক করে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী’র অভিযোগ উঠেছে জটিচর গ্রামের চার জনের বিরুদ্ধে।

 

গত সোমবার বিকেল ৩ টায় এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ মৃত আব্দুল হকের ছেলে আরফা মিয়া,আব্দুল মনাফের ছেলে আলীম উদ্দিন ও শরীফ উদ্দিনসহ তাদের চাঁদাবাজ বাহীনি ভুক্তভোগী সুহেল মিয়া’র একটি ধান কাটার মেশিন আটক করে এক লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন। সুহেল মিয়া’ বাদী হয়ে আরফা মিয়া’কে প্রধান অভিযোক্ত করে চার জনের নাম উল্লেখ ও ২/৩ জনকে গং রেখে দিরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় আরফা মিয়া, আব্দুল আলীম, শরীফ উদ্দিন, হারুন রশীদ এলাকার অত্যন্ত উগ্র,দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও বদ মেজাজী লোক। আমার একটি ধান কাটার মেশিন দ্বারা হাওরের কৃষকদের ধান কাটার কাজে ব্যবহার করি। বিবাদীগণ ধান কাটিবে বলে আমাকে হাওরে কৃষকগনের ধান কাটতে বাধা আপত্তি করে করে আসছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমার সামান্য কথা কাটা-কাটি হলে আমার প্রথম সাক্ষী মেশিনের ড্রাইভার একটি ধান কাটার মেশিন অন্যে হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার পথে উপরোক্ত ঘটনাস্থে পৌছলে তাহারা আমার গাড়িটি পথরোধ করেন। গাড়িটি আটক করে আমার মানিত প্রথম ও দ্বিতীয় সাক্ষীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় আমি উক্ত ঘটনাস্থে পৌছলে বিবাদীগণ আমাকে দেখে আরো বেশী উত্তেজিত হন, আব্দুল আলীমের হুকুমে তাহার ভাই শরীফ উদ্দিন আমার পিঠে কাটের রুইল দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করেন। শরীফ উদ্দিন ও হারুন রশীদ আমাকে প্রাণে মারার উদ্দ্যোশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আমি তাদের আঘাত সইতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যাই। আমার সাথে থাকা চার লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা আরফা মিয়া,আব্দুল আলীম জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে যায়। আমি সুর চিৎকার করিলে বিবাদীগণ আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার মেশিন আটক করে আমাকে ঘটনারস্থলে অজ্ঞান রেখে তারা চলে যায়। পরে আমার মানীত সাক্ষীগণ ও এলাকার মানুষ আমাকে দিরাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা প্রদান করেন। আমার শারীরিক অবস্থা খুব নাজেহাল। আমি ও আমার পরিবারকে নিয়ে বেশ আশঙ্কায় আছি। যে কোন সময় ওরা আমার ক্ষতি ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। আমি দিরাই থানাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সাহায্যে চাচ্ছি। এলাকাবাসী জানান, গচিয়া গ্রামের ওয়াব মিয়া’র ছেলে বর্তমান কারারক্ষী সরকারী চাকুরীজীবী বিএনপির নেতা পরিচয় দানকারী রাসেল মিয়া’ নেতৃত্বে ধান কাটার মেশিন গুলো আটক করা হয়। পরে তিনি স্ব শরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা পরিচয় দিয়ে সুহেল মিয়া’র কাছে এক লক্ষ টাকা চাদাদাবী করেন। এছাড়াও দিরাই থানার এ,এস আই মালেক সহ তার সঙ্গীয় পুলিশদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। আমার বিগত পতিত সরকার আওয়ামীলীগের দিরাই শাল্লা’র নৌকার প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী’র মিটিং মিছিলে বর্তমান বিএনপির পরিচয়দারী নেতা রাসেল মিয়া’র অগ্রণী ভূমিকা দেখেছি। তিনি নৌকায় ভোট দিতে আমাদের এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন। এলাকার অনেকেই আরো জানিয়েছেন রাসেল মিয়া কারাগারে অনেক কয়েদীকে অনৈতিক সুবিধা দেন টাকার বিনিময়ে। সুনামগঞ্জ জেল ফেরত অনেক কয়েদিরা জানিয়েছেন সামন্যে অর্থের বিনিময়ে ভয়নাক নেশা ইয়াবা, মদ, গাজাসহ বিভিন্ন নেশা দ্রব্য তিনি কয়েদিদের কাছে সরবাহ করেন।

এব্যাপারে দিরাই উপজেলা কৃষি অফিসার মনোরঞ্জন অধিকারী বলেন, আমরা কৃষকদের উপকারে মেশিন দিয়েছি। কেউ যদি আমাদের মেশিনের কাজে বাধা প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ততন্দ সাপেক্ষে দুষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *