নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় সাহিত্যমেলার আয়োজন করেছে। তিনি সাহিত্যমেলাকে তৃণমূল তথা ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই অংশ হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় চলতি মাসের মধ্যে উপজেলা সাহিত্যমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ম্যাজিক ফেডারেশনের দাবির প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আয়োজিতব্য উপজেলা সাহিত্যমেলায় জাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। তবে এক্ষেত্রে ম্যাজিক ফেডারেশনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ম্যাজিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘জাতীয় জাদু উৎসব ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও জাদু প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জাদু একটি অসাধারণ শিল্প, যার বিশেষ সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে। জাদুশিল্পীদের সাবলীল ও নান্দনিক উপস্থাপনা এটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাদুশিল্পীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের আশ্বাস প্রদান করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাৎসরিক ক্যালেন্ডার তৈরিপূর্বক হল বরাদ্দ প্রদান কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাদুশিল্পীদের জন্য হল বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া তিনি বিদেশে শিল্পী প্রেরণের ক্ষেত্রে সুযোগ ও চাহিদা মোতাবেক জাদুশিল্পীদের বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশিষ্ট জাদুশিল্পী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ‘জাতীয় জাদু উৎসব ২০২৩’ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জাদু ফেডারেশন এর উপদেষ্টা রবিন খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘জাতীয় জাদু উৎসব ২০২৩’ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শিকদার আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, জাতীয় জাদু উৎসব ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘জাদুর আনন্দে রচিব স্মার্ট বাংলাদেশ’।