বুধবার, ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ বিভিন্ন লিটিগেশনের সাথে জড়িত : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ বিভিন্ন লিটিগেশনের সাথে জড়িত।
তিনি আজ বুধবার দুপুরে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরের আমবাগানে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
মাগুরার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিজ্ঞ বিচারক হাসান জাহিদ, মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু, জিপি মাহাবুব মোর্শেদ বাবলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান সংগ্রামসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন,‘আপনারা জানেন এ দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ বিভিন্ন লিটিগেশনের সাথে জড়িত। তাদেরকে নিত্যদিন আদালত প্রাঙ্গণে আসা লাগে। তারা এ রাষ্ট্রের মালিক। তাদেরকে আমাদের বিচারিক সেবা দেয়ার দায়িত্ব। যদিও রাষ্ট্রের মালিক তারাই। তারা যখন আদালতে আসেন স্থান সংকুলান হয় না, তারা কোথায় বসবে। ইতস্তত ঘুরতে থাকে। বিশেষ করে যখন মহিলারা আসেন দূরদুরান্ত থেকে স্বাক্ষী দিতে অথবা তাদের পরিজনদের যারা  আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে তাদের সাথে দেখা করার জন্য। তারা যাতে এখানে এসে অস্বস্তিবোধ না করে-সেটা সুরাহা করার জন্য আমরা তাদের বসার জায়গা অর্থাৎ বিশ্রামাগার করার সিন্ধান্ত নিই। সে অনুসারে আমরা এটার নাম দিই ন্যায়কুঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘ন্যায়কুঞ্জে ৬০ থেকে ৭০ জন লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। দু’টি টয়লেট থাকবে, একটি পুরুষদের জন্য,আরেকটি মহিলাদের জন্য। এছাড়া একটি ফাস্ট ফুডের দোকান থাকবে। এতে করে যারা এ রাষ্ট্রের মালিক তারা এখানে এসে স্বস্তিতে কিছু সময় কাটাতে পারে বা বসতে পারে। যে জায়গাটা আমাদের এবং আমাদের বিচারের জন্য এ আদালত এবং বিচারিক সেবা দেয়ার জন্য বিচারকবৃন্দ। এই ধারনা থেকে এই ন্যায়কুঞ্জ করা। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যাতে অতিসত্ত্বর এটার কাজ শেষ হয়।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকার আমাদেরকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকায় আমারা প্রত্যেক জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে খরচ করতে পারবো। বাকি যে টাকা থাকবে আমরা চৌকিতে ন্যায়কুঞ্জু করার সিন্ধান্ত নিয়েছি সেখানে ন্যায়কুঞ্জু করা হবে। আমার মনে হয় অতি সাধারণ মানুষ যারা আদালতে আসবে তাদের উপকারে আসবে।’
প্রধান বিচারপতি পরে আদালত চত্বরে একটি লিচু গাছ রোপন করেন। এছাড়া বিচারক ও আইনজীবীদের সাথেও তিনি  মতবিনিময় করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *