বুধবার, ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

দ্বিতীয় দফায় ভোটার বাড়বে: ইসি

যায়যায় কাল প্রতিবেদক : জাতীয় নির্বাচন ও প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে ‘ছোটখাট’ সমস্যা কাটিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ভোট আরও সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, এতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের দুই দিন আগে রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটের উপস্থিতি ছিল ৩৬ শতাংশের কিছু বেশি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এত কম হারে ভোট এর আগে পড়েনি।

বিএনপির অল্প কিছু নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতা, ভোটারদের বাধা দান বা জোর করে ভোট নেওয়ার অতীত অভিজ্ঞতা, আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীক না দিলেও বেশিরভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, এসব সমীকরণ ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করেছে বলে মত দিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। তবে গত ৮ মের ভোটে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও ভোটারদের বাধা দান বা জাল ভোটের মত অভিযোগ ছিল কম।

বিএনপি যেসব নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে এসেছে, তারাও তেমন কোনো অভিযোগ করেননি। তবে একটি উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতা কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও তার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ছিল না।

মো. আলমগীর মনে করেন, ভোটের হার কমার কয়েকটি কারণ রয়েছে। বলেন, ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। তবে একমাত্র ফ্যাক্টর না। আরেকটা বড় কারণ হল, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি। ওই দিন (৮ মে) তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭টি উপজেলায় যে ভোট হতে যাচ্ছে সেদিনও নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলে আশাবাদী নির্বাচন কমিশনার আলমগীর। তিনি বলেন, ছোটখাটো যে সব সমস্যা হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং বাধাহীনভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন সেটা নিশ্চিত করা হবে।…ভোটের হার কেমন হবে সেটা তো আগাম বলা যাবে না। পরিবেশ যদি ভালো থাকে, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে ভোটে, তাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে ভোটাররা তো আগ্রহী হতেই পারে।

ভোটে যথেষ্ট সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভোটের উষ্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের বার্তা হচ্ছে- নির্বাচনটা আমরা শুধু মুখেই নয়, প্রমাণ করে দিয়েছি ৭ (জানুয়ারি) তারিখের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ৮ (মে) তারিখের উপজেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, কেন্দ্রে আসুক। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন।

হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু থাকে না বলেও মন্তব্য করেন এই মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, হলফনামায় প্রার্থী শপথ করে কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে যে কোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন প্রমাণ হলে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *