
মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী : দীর্ঘ ০৫ বছর পর বহুল আলোচিত নীলফামারীর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ও পলাতক আসামী রনিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার আসামী রনিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে মাহমুদ বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গতকাল বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নীলফামারী রেলওয়ে ষ্টেশন হতে আসামী মোঃ রনি ইসলামকে (৩৪) গ্রেফতার করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদরের চড়চড়াবাড়ি দক্ষিণপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে রনি ইসলাম এর সাথে প্রেমে জড়িয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে মেধাবী শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম হয়ে পড়ে অন্তঃসত্বা। অষ্টম শ্রেণীতে হয়েছেন মা। কোল আলোকিত করে এসেছে ফুটফুটে শিশু রোজামণি আক্তার রুনা।
শিশুটির বয়স ০৬ বছর। এতে কুলসুমকে স্বামীর পরিচয় ছাড়া সমাজে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হতে হয়। ভুক্তভোগী কুলসুম এর বাবা দেলোয়ার হোসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি। সাত বছর আগে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুলসুমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে রনি।
এদিকে, কুলসুম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গ্রাম্য সালিশে ভূল স্বীকার করে গর্ভপাতের জন্য ১০ হাজারসহ আরও টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনত্র বিয়ে করে পালিয়ে যায় রনি। কিন্তু অল্প বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গর্ভপাতের ঝুঁকি নেয়নি চিকিৎসক। এ কারনে সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর বড় বোন নীলফামারী সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা নং-১৮৮, তারিখ ১৮/০৭/২০১৯, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)। আসামী পলাতক থাকায় পুলিশ বার বার চেষ্টা করেও গ্রেফতারে ব্যর্থ হন।
অপরদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হলে আসামী রনিকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১৯ জুন সন্ধ্যায় আসামীকে রেলস্টেশন হতে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার কথা স্বীকার করেন। আসামীকে নীলফামারী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।