
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ঘোড়ায় চেপে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে-গল্পকথায় এ উপমার দেখা হামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পেরও আধুনিকায়ন হয়েছে। এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চেপে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চেপে।
একালের এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের রতনপুর ইউনিয়নের বলদীবাড়ি গ্রামে। ৩১ শে জুলাই সোমবার দুপুর ২টায় বলদীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর আকাশযান থেকে নেমে এলেন বরবেশী এক যুবক। পাশেই অপেক্ষা করছিলো ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের গাড়ি। তাতে চড়েই রাজকন্যাকে আনতে চললেন স্বপ্নের রাজপুত্র।
জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর নবীনগর উপজেলার ভিটিবিষাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়া ও সূচিত্রা বেগম দম্পতীর মেঝো ছেলে মো. সুজন মিয়া। আর কনে হলো পাস্ববর্তী বলদীবাড়ি গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির ও শিক্ষিকা মোসাম্মাৎ স্বপ্না কবিরের একমাত্র মেয়ে হাসনাত কবির সূচি। বিয়ের এই মুহুর্তটিকে স্বরণীয় করে রাখতে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা দিয়ে হেলিকেপ্টার ভাড়া করছেন বর পক্ষ।
বলদীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠে হেলিকপ্টারটি যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই চারপাশে ছিল উৎসুকদের ভিড়। হেলিকপ্টারে করে আসা বর দেখার জন্য আশপাশের অনেকেই ভিড় জমান মাঠে। উৎসুকদের ইচ্ছাপূরণ করে বিয়ে শেষে সন্ধ্যার আগেই কনেকে নিয়ে বর ফের চড়লেন হেলিকপ্টারে। বিকট শব্দে আকাশে ওঠে হেলিকপ্টার; আর মেঘের দেশ হয়ে ইট-কাঠ-পাথরের শহরে পাড়ি জমান এ কালের রাজপুত্র আর রাজকন্যা।