
সাইফুল ইসলাম রদ্র, নরসিংদী: নরসিংদী শিবপুর উপজেলার যোশর উত্তর পাড়া গ্রামের যুবদল নেতা আব্দুল মোমেনের বাড়িতে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীরা এসে তার বাড়িতে এলোপাতাড়ি দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মোমেনের গর্ভবতী স্ত্রী চৈতী আক্তার আহত হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সংবাদকর্মীরা যোশর উত্তর পাড়া গ্রামের যুবদল নেতা মোমেনেরর বাড়ি গেলে বাড়ির ভাঙচুরের চিত্র দেখা যায়।
মোমেনের মা সখিনা বেগম সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে মিথ্যা, বানোয়াটভাবে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এরই জের ধরে গত রাত আনুমানিক ১.৩০ টার সময় ২০-৩০ জন সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ ৩ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে আমার পুত্রবধু গর্ভবতী থাকার পরও তারা তাকে নির্যাতন করে। এরই মধ্যে আমি কয়েকজনকে চিনতে পেরেছি। সন্ত্রাসীরা হলেন আসাদের ছেলে মামুনের নেতৃত্বে মোখলেছ (২১), বাবুল (২৮), শাকিল (২৩), শফিকুল (৩২), বিল্লাল (৩৭), সবুজ (২২), সম্রাট (২৩), জুনায়েদ (২১)। তারাসহ তাদের পালিত সন্ত্রাসীবাহিনীরা এসে আমার বাড়িতে লুটপাট করে।
এদিকে চৈতী আক্তারের অভিযোগ, আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থাকায় এবং বিএনপি করে এই কারণে গভীর রাতে ২০-৩০ জনের একটি দল এসে আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমার ড্রয়ারে থাকা স্বর্ণালংকারসহ ৩ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি ও আমার স্বামী তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা যে কোন সময় আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে তাই আমি প্রশাসনের নিকট বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে পথচারী রিকশাচালক মো. আইনুল মিয়া জানান, গত ২ দিন আগে একই এলাকায় একটি হত্যা হয়েছে চারাবাগ এলাকায়। এরই জের ধরে এই বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত বিল্লালের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিল্লালের অন্যান্য সহযোগীদের নিকট জানতে চাইলে তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে মোমেন মিয়ার অভিযোগ, বিগত ১৫ বছর যাবৎ এই আসাদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের জায়গা দখলসহ চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে আছি বিধায় আমার বাড়িতে তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছিল। আমি এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে আসামিদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে চৈতী আক্তার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হওয়ায় শিবপুর থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে শিবপুর থানা পুলিশের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। আমাদের নিকট লিখিত আকারে অভিযোগ করলে প্রকৃত আসাসিদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে যোশর ইউনিয়নের অধিকাংশ বিএনপি নেতাকর্মী বলেন, আব্দুল মোমেন একটি সহজ সরল একটি ছেলে। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে আছে বিধায় আওয়ামী সমর্থক সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে লুটপাট ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার বাড়িটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তাই দ্রত সময়ে শিবপুর থানা পুলিশ ও নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট সন্ত্রাসীদের বিরদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।