সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু, নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ রায়পুরা থানা ও জেলা পুলিশের ৪৮ সদস্যসহ এ মামলায় মোট ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গুম হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
নরসিংদী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকি অভিযোগটি সিআইডিকে অভিযোগটি এফ আই আর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত কারার নির্দেশ দিয়েছেন।
নরসিংদী আদালতের আইনজীবী রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামীরা হলেন- নরসিংদী জেলা পুলিশের সাবেক এস পি আমেনা বেগম, সাবেক এএসপি (রায়পুরা সার্কেল) বেলাল হোসেন, সাবেক ওসি আজহারল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ আরও ৬৩ জন পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতা।
মামলার লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুন দুপুরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাডী ইউনিযন আওযামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি রূপ মিযা, ইউনিযন আওযামী লীগের ক্রীডা সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ওযার্ড আওযামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন এবং ইউনিযন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭ বছর পার হলেও গুম হওয়া ৪ জন বাড়িতে ফিরেননি।
ভুক্তভোগীদের পরিবার তাদের সন্ধান চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে পুলিশ ও আওয়ামিলীগের লোকজন বাঁধা দেয় এবং হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
নরসিংদী সিআইডির পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার বলেন, “আমাদের হাতে এখনও মামলার কপি আসেনি। যদি আজকে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে, তাহলে ২-৩ দিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে।”