নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ এর প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীরা। আসছে ১৭ অক্টোবর নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাঁছাই শেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২৪ প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ২টি মহিলা আসনে ১০ জন এবং চারটি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী।
সাধারণ সদস্য পদের ৬টি ওয়ার্ডের ৬টি আসনের মধ্যে ২টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২জন প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২জন হলেন ২নং ওয়ার্ডে মো. ওবায়দুল কবির মৃধা এবং ৪নং ওয়ার্ডে মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ জন হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া (কাপ পিরিচ প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনির হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ জাহান লিটু (মোটর সাইকেল প্রতীক)।
সংরক্ষিত নারী আসনের ২টি মহিলা সদস্য পদে মনোনয়ন জমাদানকারী ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে রয়েছেন ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ২ নং ওয়ার্ডে রয়েছেন ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, ১নং ওয়ার্ডে সাহিদা খানম, শিউলী পারভীন, তৌহিদা সরকার,নাজমা আক্তার, মোসঃ রাহেলা বেগম ও শাহানাজ বেগম এবং ২নং ওয়ার্ডে মরিয়ম বেগম, ইসরাত জাহান তামান্না, মুন্নী আক্তার ও উম্মে কুলসুম খাতুন। ৪টি ওয়ার্ডে ৪টি সাধারণ সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী এরা হলেন, মো. মাহবুবুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকার। ৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী এরা হলেন, রাজিব আহমেদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. খোরশেদ আলম ও টিটো মিয়া।
৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রার্থী এরা হলেন, মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম, আব্দুছ ছামাদ মোল্লা ও এ কে এম জহিরুল হক।
৬নং ওয়ার্ডে রয়েছেন ২ জন প্রার্থী এরা হলেন, মো. শহিদুল্লাহ এবং মেরাজ মাহমুদ।
এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, নির্বাচন হবে উৎসব মুখর পরিবেশে, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। একাধিক প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং মাঠ সমতল রাখতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।