বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

নরসিংদী মরজাল বাসস্ট্যান্ডে জহিরে চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ যাত্রীরা

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী রায়পুরা মরজাল বাসস্ট্যান্ডে সাধারণ যাত্রীদের আতংকের নাম এখন জহির। তার কাছে হয়রানির শিকার হচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ যাত্রীরা।
সংবাদকর্মী মনিরুজ্জামান তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন মরজাল পার্কে। পার্কে ঘুরে বিকেলে মরজাল থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য মরজাল বাসস্ট্যান্ডে আসেন। পরে জহির তাকে এনা বা হানিফ বাসে উঠিয়ে দিবে বলে ৪ জনের নিকট থেকে ৩শ’ টাকা করে ১২শ’ টাকা ভাড়া নেয়। কিন্তুু তাদেরকে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা মৌমি পরিবহন লোকাল বাসে তাদেরকে উঠিয়ে দেয় যার ভাড়া ১শ’ টাকা। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামান তাকে জিজ্ঞাসা করলে সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী জহির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অথচ আশেপাশে থাকা লোকজন কেউ এই বিষয়ে প্রতিবাদ করেননি।

তাৎক্ষণিক সংবাদকর্মী মনির জানতে পারে যে, এই জহির ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় দীর্ঘদিন গাড়ির চাকা চুরির অপরাধে জেল খেটেছে ও রায়পুরা থানায় ডাকাতি মামলায় জেল খেটেছে নরসিংদী জেলখানায়। বর্তমানে তার পেশা হলো মাদক সেবন ও পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করা। এ বিষয়ে মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক প্রভাবশালী সাংবাদিকের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। যেহেতু আমি স্থানীয় প্রতিনিধি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নই। আপনি চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

এ বিষয়ে মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক ব্যবসায়ী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, জহির, মস্তু ও মমিন নামে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। রাতে তারা চুরি করে। এমনকি প্রতিটি সিএনজি থেকে তাদেরকে ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। কেউ না দিলে তার ওপর অত্যাচার করা হয়।

এ বিষয়ে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে সমতা বাজারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরা হলো দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তারা নেশা সেবন করে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে এই এলাকায়। মোমেন ও মস্তুসহ তাদের লিডার হলো জহির। তাদেরকে একাধিকবার না করে দেওয়ার পরও তারা এখানে এসে করছে চাঁদাবাজি। তাই প্রশাসন যদি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ যাত্রীরা উপকৃত হবে।

এদিকে মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি মোবাইল ফোনটি উঠাননি। ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা মৌমি পরিবহনের সুপারভাইজার আল-আমিন জানান, এই জহির একটি চোর। সে বিগত সময়ে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে নিজে কয়টি বিয়ে করেছে নিজেও বলতে পারবে না। তার বাবাও একাধিক বিবাহ করেছে বলে জানা গেছে। এইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।

এ বিষয়ে রায়পুরা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আফসান-আল-আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিকট লিখিত অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ