মোঃ মনজুরুল ইসলাম নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সদরে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্বা স্ত্রী হাসনা হেনা (২২)কে মারপিট করে হত্যার দায়ে শরিফুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এঘটনায় আরো তিনজনকে খালাস দেন আদালত। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
কারাদন্ড প্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া করোটা এলাকার সামসুল হকের ছেলে।
স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া করোটা এলাকার সামসুলের ছেলে শরিফুলের সাথে পাশের এলাকার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল ও মর্জিনা দম্পতির মেয়ে হাসনা হেনার ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। তারপর থেকেই যৌতুকের জন্য হাসনাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে শারিফুল ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতন করার কারনে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করনো অঙ্গিকার করলে তাদের আবার ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী বিবাহ হয়। তাদের সংসার করাকালে হাসনা ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হয়। শরিফুলও তার পরিবারের লোকজন পুনরায় যৌতুকের দাবিতে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট রাতে নির্যাতন শুরু করে। পরে হাসনাকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। পরের দিন সকালে লোক মারফত শুনে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে শয়ন ঘরের বারান্দায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাসনার মা মর্জিনা বেগম। এঘটনায় নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা রুজু করতে অস্বীকার করলে হাসনার মা মর্জিনা বেগম আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে শরিফুলসহ আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দাখিল করেন।
মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামীর উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। অপর তিন আসামি দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় খালাস দেন আদালত। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।