মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী : ফজরের নামাজ শেষে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মসজিদের ইমাম ক্বারি আবুল হোসেন (৬৪) কে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখমের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা। আহত ক্কারি আবুল হোসেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় নীলফামারী-ডোমার সড়কের অচিনতলা হতে হরতকিতলার মাঝামাঝি পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানা অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম পিপিএম (সেবা)।
গুরুতর আহত ইমাম নীলফামারী সদরের কানাইকাটা তেতুলতলা ঘুন্টিরপাড় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামের মালুটারি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মত ফজরের নামাজ পরে সাইকেল যোগে কানাইকাটা তেতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে হরতকীতলা পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পিছন থেকে ঘাড়ে চোট মেরে দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখে এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে প্রধান সড়কের হরতকীতলা বাজারে হাজারো মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক ডা. আব্দুর রহিম বলেন, আজ ভোরে ডেথ ইনজুরি অবস্থায় একজন ইমাম চিকিৎসার জন্য আসেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মমতাজ আলী প্রামাণিক বলেন, আমরা দলমত বুঝি না তিনি একজন ভালো মানুষ। যেভাবেই হোক অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতারের অনুরোধ করেন তিনি। নাহলে বৃহৎ আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন তিনি।
নীলফামারী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম পিপিএম (সেবা) বলেন, এ ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় আসামী সনাক্তসহ গ্রেফতারে আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।