মো. মারুফ হোসেন লিয়ন, সৈয়দপুর (নীলফামারী): নীলফামারীতে শেয়ালের কামড়ে শিশু-গৃহবধুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের জাকিরগঞ্জ এলাকার ওই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন- খয়রাত হোসেন (৭০), সুনীল চন্দ্র (৫৫), ওবায়দুল ইসলাম (৩৫), আব্দুল লতিফ (৪৮), গৌরি রানী (২৮), সাইদার আলী (৪৮), নাসিমা খাতুন (৩৮), বেলাল হোসেন (৫০), শিশু রিফাত হোসেন (৫) ও রিশা মনি (৮)।
আহতদের বাড়ি বাজার সংলগ্ন মেম্বারপাড়া, কৈপাড়া, বাহারপাড়া, সরকারপাড়া, হাজীপাড়া ও গুচ্ছগ্রামে।
সরকারপাড়ার স্কুলশিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান, সন্ধ্যার পর থেকে একপাল শেয়াল এ এলাকার রাস্তায় চলাচলকারী মানুষজনকে এবং বাড়িতে ঢুকে শিশু-গৃহবধূদের কামড় দিচ্ছে। শেয়ালের কামড়ে ছয়টি গ্রামের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। শেয়ালের আতঙ্কে মানুষজন লাঠি হাতে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীর লাঠির আঘাতে একটি শেয়াল মারা পড়েছে।
জাকিরগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক জিন্নাত আলী জানান, রাত ৮টার দিকে শেয়ালের কামড়ে আহত প্রায় ২৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও গৃহবধূ রয়েছে। সকলকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম শাহ জানান, প্রত্যন্ত গ্রামে শেয়ালের কামড়ের ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গ্রাম থেকে জেলা সদরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটারের বেশি। তাই আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তবে তাদেরকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।