লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লাকড়ি দিয়েই চলছে কুতুব পুরের এ এন্ড এইচ ইট ভাটা! নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্র। ভাটার চারপাশ জুড়ে জ্বালানি কাঠের সমাহার। ভাটার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। মালিক পক্ষের বড়িতেও বিপুল পরিমান জ্বালানি কাঠের মজুদ দৃশ্যমান। ইটভাটা সংলগ্নে অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে গাছ কাটার মিল। একদিকে আশপাশ থেকে সংগ্রহীত ফলজ ও বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এই স’মিলে লাকড়ি করে ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। অপরদিকে ভবানীগঞ্জের ওয়াপদা অফিস থেকে জকসিন বাজার এলাকায় মূল সড়কের পাশেই ইট ভাটার শ্রমিকদের জন্য দেয়া হয়েছে কাঁচা টয়লেট। এতে পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পথচারিদের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নত হচ্ছে। ভবের হাটের হাফ কিঃ মিঃ উত্তরে কুতুবপুর গ্রামে মূল সড়কের পাশেই এই ইট ভাটার অবস্থান। ভাটা স্থাপনের যথোপযুক্ত পরিবেশ না থাকলেও প্রায় দেড় যুগ ধরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে এই ইট ভাটা। প্রচলিত ইট ভাটা স্থাপন আইন অমান্য করে প্রায় দুই যুগ পূর্বে এই ইট ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। শুরু থেকেই পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারসে পুড়ছে কাঠ। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার ফলে পাশ্ববর্তী বাগান গুলোর নারিকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছের ফলন কমে গেছে অনেক। বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্কদের শ্বাস জনিত রোগের পাদুর্ভাব। স্থানীয়ভাবে প্রভাশালী হওয়ায় খোকন গংদের এহেন অবৈদ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পায়নি এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এ এন্ড এইচ ইট ভাটার বেপরোয়া অবৈধ বানিজ্যে লাগাম টানতে পরিবেশ অধিদপ্তর তথা প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
চট্টগ্রাম বিভাগ এর সর্বশেষ সংবাদ
নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র! ভাটার চারপাশে জ্বালানি কাঠের সমাহার
- যায়যায়কাল
- ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
- ৫:৩৪ অপরাহ্ণ
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram