
মেহেদী হাসান নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের বোডের বাজারে ৯৭ বস্তা প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কেজি চাল জব্দ করেন প্রশাসন।
১৪ এপ্রিল সকাল ১১ টায় গোপন সংবাদে বোডের বাজার ইউনিয়নের পাশের এক দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গরিব-অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকানে ভিজিএফের চাল মজুদ রাখা আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭৩ টি সরকারি বস্তা খালিসহ বিভিন্ন বস্তায় ৪ হাজার ৯শত কেজি ভিজিএফের চাল পাওয়া যায়। অভিযানের সময় মজুদকারী চালের ব্যবসায়ীকে পাওয়া যায়নি।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার । জব্দ করা চাল পরিষদে চেয়ারম্যানের জিম্মায় জমা রাখা হয় এবং চেয়ারম্যান বাদী হয়ে মনাং গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে ফুল মিয়ার (৩০)নামে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারে কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার,সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল হক, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারাস দিলীপ প্রমুখ।
এদিকে এলাকার কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় ফুল মিয়া উপকারভোগীদের কাছ থেকে প্রায় সময় চাল কিনে রাখেন। সেই চাল দোকানে মজুত থাকে।তবে এই ইউনিয়নে গরিবের তুলনায় ধনীর সংখ্যায় বেশি এই বিজেএফের চাল পেয়েছেন। তাদের তো আর এসব চালের প্রয়োজন নেই তাই বিক্রি করে দিয়েছে। চেয়ারম্যান মেম্বার ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তাই তারা জরিত আছে কিনা জানেন না স্থানীয়রা ।
এ ব্যাপারে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারাহ দিলীপ বলেন, আমার ইউনিয়নে ১৮ শত ৪২ জন ভিজিএফ এর কার্ডধারী রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপকারভোগীর মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করেছি। আমি সারাদিন ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ‘র চাল বিতরণ কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে গিয়ে অনেক উপকারভোগী তাদের চাল বিক্রি করে দেন। সেই সব চাল ব্যবসায়ী ফুল মিয়া দোকানে গুদামজাত করে।
তাকে বার বার নিষেধ করার পর ও সে কথা শুনেনি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, সকাল ১১:৩০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদনপুর ইউনিয়নের বোডের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে একটি দোকানে খালি বস্তা ও চাল ভর্তি ৯৭ টি বস্তা পাওয়া যায়। সে সময় দোকানের মালিক কে পাওয়া যায়নি তাই সে কিভাবে কোথা থেকে চাল মজুত করেছে সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে পারেনি তাই তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
মডেল থানা অফিসার্স ইনচার্জ লুৎফুল হক এঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ওই ব্যবসায়ীকে পাওয়া যায়নি যার কারণে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাদী হয়ে নিয়মিত মামলার করেন । ১৫ এপ্রিল মামলা রুজু হয়েছে এখন আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিকালে সরেজমিনে গেলে চাল ব্যবসায়ী ফুল মিয়া সাথে কথা বললে সে বলে বিজিএফ এর চাল পাবলিকের কাছ থেকে কিনে রাখেন এ কথা বলে তিনি চাবি আনার বাহানায় উধাও হয়ে যান দুই ঘন্টায় ও সংবাদকর্মীদের সামনে আসেনি