
মো. বেল্লাল হোসাইন নাঈম, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ভূমি খেকো জহির(জহুর) বাহিনীর তান্ডবে নিরীহ বদিউল আলমের বসতি ভিটায় ভাঙচুর, লুটপাট ও বসতঘর নিশ্চিহ্ন করে জবর দখল করে পাকা দালান তৈরি অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৫ মে সকাল থেকে সপ্তাহ জুড়ে এমন তাণ্ডবের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ড বিহিরগাঁও রুহুল আমিন ভূঁইয়া বাড়িতে।
বুধবার সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মৃত সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়ার পুত্র বদিউল আলম জেলা জরিপি ৭৬ ও ৭৮, বিএস জরিপি ১২০ নং দাগে (বাড়িতে) খরিদ সূত্রে ৭২ শতাংশ ১২১ নং দাগ (পুকুরে) ২৭ শতাংশ ভূমিতে একক মালিক হয়।
এছাড়া উক্ত দাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দাগের ভূমিতে ও একক মালিক থাকিয়া, তন্মধ্য বর্তমান বাড়ীর পুরোটাই বদিউল আলম নিজ অর্থে ভরাট করে বসত বাড়ি তৈরি ও চৌচালা টিনের ঘর ও রান্না ঘর করে স্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতো।
এর মধ্যে জহির, সারওয়ার ও সাত্তারগণ বদিউল আলমের একক মালিকীয় ভূমিতে বসবাস করে আসছে। জীবিকার তাগিদে বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে বদিউল আলম পরিবার নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে।
মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে জায়গা জমি ও গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণ করতো। গত ১ মাস আগে থেকে একই বাড়ির মৃত রুহুল আমিন ভূঁইয়ার পুত্র ভূমি খেকো জহির, সাত্তার গং লোকজন তাদের ভগ্নিপতি প্রভাবশালী কনকের ইন্দনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে বদিউল আলমের সৃজিত গাছপালা কেটে ফেলে ও বদিউল আলমের বসত ঘর রান্নাঘর বাথরুম ইত্যাদি নিশ্চিহ্ন করে তথায় পাকা দালানঘর তৈরির বেইসমেন্টের কাজ শুরু করে।
ভুক্তভোগী বদিউল আলম বলেন, জহুর বাহিনীর এমন তাণ্ডবে আমার প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্যদের অবহিত করে সামাজিক বিচার দাবি করেন।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে জহির স্বীকার করে বলেন, এই বসত বাড়িটি বদিউল আলমের বাধানো ও তার বসত ঘরটি তাকে না জানিয়েই আমার বড় ভাই সাত্তারের নির্দেশেই লোকজন দিয়ে খুলে অন্যত্র রাখা হয়েছে। তবে উনার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি ও বদিউল আলম কে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সাত্তার গংদের দালান নির্মান কাজ বন্ধ করা যেত।
ইউনিয়ন আ’লীগ সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেই সেখানে গিয়ে সাত্তার ও জহির গংদের কাজ বন্ধ রাখতে বলি। জহির গং লোকজন বদিউল আলমের বসত ঘর নিশ্চিহ্ন ও গাছপালা কর্তন করার বিষয়ে তিনি আরও বলেন সম্পূর্ণ অমানবিক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। যা একেবারেই নিন্দনীয়। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী বদিউল আলম আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।