পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে ও রাতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে চোর চক্রের এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।একই সাথে চুরি হওয়া মোটরাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই বিকেলে পটুয়াখালী শহরের তিতাস সিনেমা এলাকা থেকে সুজুকি জিক্সার ব্রান্ডের মোটরসাইকেলটি কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায় চক্রটি। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন বরিশাল জেলার দিনারের পুল এলঅকার মৃত বাবুল ফরাজীর ছেলে বাহাউদ্দিন রাব্বি (২৪) এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুল্লাহ এলঅকার মান্নান হাওলাদারের পুত্র মোঃ সোহেল হাওলাদার (৩০)। এরা দুজনেই পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম বলেন, ১৬ জুলাই বিকেলে আমরা একটি অভিযোগ পাই শহরের তিতাস সিনেমা এলাকার সুবর্না টাওয়ারের পাকিং থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের একটি চৌকস টিম বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করে। শহরের বিভিন্ন এলকার সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় মোটরসাইকেল চোর মুখে মাক্স পরা এবং মাথায় কালো টুপি ও কালো টি সার্ট পড়া ছিল। সে মোটরসাইকেলটি নিয়ে সরাসরি পটুয়াখালী সেতু অতিক্রম করে লেবুখালী সেতুর দিকে এগিয়ে গেছে। পরবর্তীতে লেবুখালী সেতুর সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় সে বরিশালেল দিকে যাচ্ছে। সিসিটিভ ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন থানায় এ সংশ্লিষ্ট ম্যাসেজ দেয়া হয়। ১৭ জুলাই সকালে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় টহল পুলিশ দায়িত্ব পালন কালে মোটরসাইকেল চুরির সাথে সরাসরি জরিত ওই যুবকে সন্দেহ হলে বিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে চুরির সাথে তার সম্পৃত্ততার কথা শিকার না করলেও পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের একটি দল মহিপুর থানায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মোরসাইকেল চুরির বিষয়টি শিকার করলে তাকে নিয়ে অভিযান শুরু হয়। আসামীর কথা অনুয়ায়ী পিরোজপুর জেলার ভান্ডরয়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় মোটসাইকেল এবং চোর চক্রের আরও একজন সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। ১৭ জুলাই রাতে ভান্ডারিয়া থেকে পটুয়াখালী থানায় উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল এবং আসামীকে নিয়ে আশা হয়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী থানায় চুরি হওয়ার মোটরাইকেল মালিক প্রকৌশলী আবু তাহের ইমরান একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই চোর চক্রের সাথে আরও কারা কারা জরিত আছে সেসব আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিজান পরিচালনা করছে।’