যায়যায় কাল প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। প্লাবিত হয়েছে সবজি ও আমন ক্ষেত।
সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন পটুয়াখালীজেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ।
তিনি জানান, রেমালের প্রভাবে মৎস্য খাতে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জেলায় মোট ১৪ হাজার ১৫০টি পুকুর, ৭৭৮টি মাছের ঘের ও ১২০টি কাঁকড়া ও কুচিয়ার খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালী ও কলাপাড়া ডিভিশনের ২৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে; যার পরিমাণ ১৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫৮ হাজার ৩০৪ কৃষকের ৭৫ হাজার ৪০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ে ছয় হাজার ৮২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৩১ হাজার ৬৯৪টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি মিলে মোট ২৯ হাজার ২৪০টি গবাদিপশু পাখি মারা গেছে; যার ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ঝড়ে ৩৬১ হেক্টর গাছ-পালা ও বনাঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ সাত কোটি ২৭ লাখ টাকা। গভীর নলকূপ এক হাজার ২২৪টি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ছয় হাজার ৬৮১টির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে মোট ৮৪ হাজার ৫০০ পরিবারের তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা।
রোববার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত রেমালের প্রভাবে বসতঘরে গাছ চাপায় বাউফল ও দুমকিতে দুই বৃদ্ধ এবং আশ্রয় কেন্দ্রে বোন ও ফুফুকে নিয়ে যাওয়ার সময় পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে কলাপাড়ায় এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন।