
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানকে একটি হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ জানান, দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালী এলাকায় একটি ঘেরে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া চালানোর সময় ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অস্ত্রসহ ৭ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আটক করে যৌথবাহিনীর হাতে তুলে দেয় ঘের মালিক পক্ষ। যৌথ এ অভিযানের সময় ১৫টি হাতবোমা, ৫টি দেশীয় দা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ সময়ে গণপিটুনির শিকার হয় সন্ত্রাসীরা। অসুস্থ অবস্থায় কামরুল গাজীকে দেবহাটা সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়। ঘটনায় পরদিন ২ নভেম্বর ঘের মালিক পক্ষ কামরুল গাজীসহ যৌথ অভিযানে আটক সাতজনের বিরুদ্ধে লুটপাটসহ নানা অভিযোগে মামলা করেন দেবহাটা থানায়।
আইনজীবী আরও জানান, ঘটনার নয় দিন পর ১০ নভেম্বর সন্ত্রাসী কামরুল গাজীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ২৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দেয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। সেই মামলায় সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে ২১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মূলত যে ভিকটমকে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সে একজন ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী। ১ নভেম্বর ঘটনার পর সাংবাদিক হাবিবুর রহমান তার প্রকাশিত পত্রিকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছবিসহ একাধিক লিড সংবাদ করায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শেখ আব্দুস সাত্তার বলেন, মর্জিনা খাতুন একজন অসহায় ও দরিদ্র নারী। তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি যেন অভিযুক্তকে জেল হাজতে রাখা হয়।
এদিকে সাতনদী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহমান দাবি করেন, হাবিবুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি সম্পাদকের মুক্তি দাবি করেছেন।
সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান বলেন, “হাবিবুর রহমানকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে কতিপয় ব্যক্তি তাকে মারধর করে লাঞ্ছিত করেন। এতে সাংবাদিক সমাজ মর্মাহত।”