
সাদাফ মেহেদী, পবিপ্রবি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হলের উদ্যোগে ৩৬ জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে টিম এক্সিডেন্ট বনাম টিম জুলাই স্ট্রাইকারস এর মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এএনএসভিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ, বরিশাল ক্যাম্পাসের সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আলী আজগরসহ অনুষদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান।
খেলার পূর্ণ সময়ে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ২-২ গোলের সমতায় খেলাটি শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে গড়ায় এবং ট্রাইবেকারে জুলাই স্ট্রাইকারস ৪-৩ গোলে জয়ী হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন,”৩৬ জুলাই এর মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদেরই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে। এসময় তিনি ফাইনালে অংশ নেওয়া উভয় দলকেই অভিনন্দন জানান।”
সভাপতির বক্তব্যে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান বলেন,”আয়োজক কমিটি ও সকল দলের খেলোয়াড়দের সুন্দরভাবে টুর্নামেন্টের সকল খেলা পরিচালনা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। জুলাই এর স্মৃতি ধরে রাখতে এমন একটি টুর্নামেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা পেলে এমন আয়োজন আরও করতে পারবো বলে আশা করছি।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর বলেন,”তোমাদের মাঝে আমি উপস্থিত হতে পেরে খুবই আনন্দিত। জুলাই শহীদের স্মরণে এই টুর্নামেন্ট সত্যি প্রশংসনীয়। আমি প্রত্যাশা করি শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের মনকে প্রফুল্ল রাখবে।”
এছাড়াও তিনি বরিশাল ক্যাম্পাসকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় এ বিষয়ে নানান দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
পরবর্তী অংশে বিজয়ীদল এবং রানারআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই এ খেলাটির উদ্বোধন করা হয় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া জুলাইয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন যাতে প্রতি বছর করা হয়।