শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পলাশবাড়ীতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: সাংবাদিক স্বামীর দাপটে প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক আরেক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পলাশবাড়ি উপজেলার কাতুলী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বর্তমান বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ.এফ.হাসান আরিফের মৃত্যুতে সরকার ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালনের জন্য পরিপত্র জারি করেন। সে মোতাবেক সরকারি/বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাতুলী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদা বেগম উল্লেখিত সরকারি পরিপত্র অমান্য করে উক্ত দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা তো পরের কথা তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। বিষয়টি অবগত হয়ে চ্যালেন টোয়েনিটফোরের গাইবান্ধা প্রতিনিধি ও দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আসাদুজ্জামান মামুন তার ক্যামেরা পারসনসহ পলাশবাড়ীর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক উক্ত বিদ্যালয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপস্থিত হন।

এ সময় সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (এটিও) ফিরোজ কবির উপস্থিত থেকে সাড়ে ৩টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময় তাকে কেন সরকারি নির্দেশ মানা হয়নি জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠে সাংবাদিক মামুনের গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে তাকে থাপ্পড় মারার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, এই প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম এর আগেও গত ২ ডিসেম্বর নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া নিয়ে গাইবান্ধার ২ সাংবাদিকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

নির্ভরশীল সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমের স্বামী ফেরদৌস আলমও একজন সাংবাদিক। প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমের স্বামী একজন সাংবাদিক হওয়ায় এই সাংবাদিকতার দাপটে অফিশিয়াল কোন নিয়ম-কানুনের প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছে মত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্নমুখী হওয়ায় কমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সাংবাদিক স্বামীর দাপটে প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করছেন। তাই ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল সাংবাদিকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দায়ী প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগমের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ