যায়যায়কাল প্রতিবেদক : দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, বিশেষ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের (স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি) ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলাগুলোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো তাদের বিস্তারিত জানিয়েছি। যেসব দেশে অর্থ পাচার অর্থাৎ মানি লন্ডারিং হয়েছে সেসব দেশের নামগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, তাদের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে যেসব দেশ রয়েছে, সেসব দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তাদের সহযোগিতা পাবো।
আক্তার হোসেন আরও বলেন, আমরা দালিলিক তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছি। কিন্তু আমরা এখনও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে আশানুরূপ জবাব পাইনি। ৭১টি দেশকে অনুরোধ জানালেও মাত্র ২৭টি দেশের কাছ থেকে জবাব পাওয়া গেছে।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুদকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মিশেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব ইনক্লুসিভ গভর্ন্যান্স পাবলো পাদিন পেরেজ, নাদের তানজা ও কিশোয়ার আমিন।