বুধবার, ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাবনায় আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলি ৮ জন গুলিবিদ্ধ

পাবনা প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

পাশাপাশি অফিস হওয়ায় রাত ১০ টার দিকে মেহেদী গ্রুপের লোকজন সিফাতের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগ মেহেদী গ্রুপের লোকজন।

মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের এবং ইফতে আরাফাত সিফাত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্তের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা। তিনি জানান, মেহেদী লোকজন নিয়ে পার্টি অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বার বার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়ায়।

তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত। তিনি বলেন, আমি আমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এ সময় হঠাৎ ২০/৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

bnen