মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

পাহাড়িরা জন্মগতভাবে সহজ-সরল ও বিশ্বস্ত : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, পাহাড়িরা জন্মগতভাবে সহজ-সরল ও বিশ্বস্ত। এ পাহাড়ি জনসাধারণকে অসিহষ্ণু করেছিলো তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন অপরাধীদের সেখানে বসত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় শান্তি চুক্তির ফলে উত্তাল ও অসিহষ্ণু দিনের অবসান ঘটেছে এবং এ অঞ্চলে পুনরায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধির স্নিগ্ধ সুবাতাস বইছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত চার দিনব্যাপী (১২-১৫ জানুয়ারি) ‘পার্বত্য মেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ও বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।

প্রধান অতিথি বলেন, পার্বত্য মেলা আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্য ও সমতলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্বের বন্ধন রচিত হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির ফলে এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার হার সমতলের চেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জুম চাষের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ চলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় পাহাড়িরা ভূমিকা রাখছে।

সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চায় বরাবরই অনুরাগী। এই মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যসামগ্রী, হস্তশিল্প, কোমরতাঁতে বোনা পণ্য, বিভিন্ন মৌসুমী ফলের প্রচার ও বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমতল মানুষের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়া এ মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রতিমন্ত্রী পরে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ