শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী পুঠিয়ার সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার চাচা আলিউজ্জামান মুন্টু (৬২) ওরফে মুন্টু মাস্টারকে বিদ্যুতের পোলের বেঁধে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে এ ঘটনার সময় রড দিয়ে পিটিয়ে মুন্টুর হাত-পা থেতলে করে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়।

আলিউজ্জামান মুন্টু উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বাড়ি বিড়ালদহ গ্রামে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফেরে আসেন। তবে তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় কোন মামলা নেই।

আহত আওয়ামীলীগ নেতা ওলিউজ্জামান মুন্টু জানান, আমি সকালে টিস্যু কিনতে বিড়ালদহ বাজারে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন মিলে আমাকে এলোপাতারি মারধর করেছে। তারা হলেন, বিড়ালদহ এলাকার মিঠন (৩২) আহসান হাবীব (৩৪) আহাদ আলী (২৮) জুয়েল (৩৬) ওয়াসিম (৩৯) সহ অজ্ঞত কয়েকজন। এতে আমারই পা ভেঙে গেছে। আমাকে যখন মারধরের সময় বাজারের অনেকেই দেখেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বিএনপি’র সমর্থক মিঠুন বলেন, আজ আমার মামা মারা গিয়ে। মামার জানাযা নিয়ে আমি ব্যস্ত। আমি কাউকে মারধরের প্রশ্নই আসে না! যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে এরাই আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার বাবা এবং ভাইকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ নেতা মন্টু মাস্টার এলাকায় “শিক্ষা মন্ত্রী” নামে পরিচিত। এই মন্টু মাস্টার ৩শতর বেশি লোকের টাকা চাকরির নামে মেরে দিয়েছে।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত মুন্টু মাস্টারকে ধরে পিটিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তার আগেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উক্ত ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা হবে।

 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *