নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পটুয়াখালীর বাউফল থানার কেশবপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির ইটালি প্রবাসী মো.রফিকুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণে বিরোধপূর্ণ বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় একটি ভূমিদস্য চক্রের যোগসাজশে কোটি টাকা মূল্যের এই বাড়ি দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জায়গার প্রকৃত মালিক মো.হাওলাদারের ছেলে আলম হাওলাদার আজ ৩১/০১/২০২৩ইং পটুয়াখালীর বাউফল থানায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে, দুজনকে আসামি করে, একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।অভিযোগে পটুয়াখালীর বাউফল থানা এলাকার কেশবপুর মৌজার জেএল-৬১, বিএস ১০২১ খতিয়ানভুক্ত ২২২৭ নং দাগের সাড়ে সাত শতাংশ (৭.৫) জায়গা ওয়ারিশ সূত্রে আমি আলম হাওলাদার প্রকৃত মালিক হই। আমার চাচাতো রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় টাইলসের কাজ করতে গেলে আমি তাকে নিষেধ করি। সে আমাকে দ্বিতীয় তালা সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। আমি তাতে গুরুতর আহত হই। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম হাওলাদার।বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এর আগে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে, ইতালি প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে মো.আলম হাওলাদারকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ২০৬/২০২১।
উল্লেখ্য যে, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার এর চাচাতো ভাই জায়গার প্রকৃত মালিক আলম হাওলাদারকে কেয়ারটেকার বানিয়ে উচ্চ আদালতে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছিলেন। জানা যায়, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার তার নিজের নাতনির বয়সী একটি ছোট মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এলাকাতে নিয়ে আসেন। তার বিয়ের বিষয়ে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে, সঠিক বিচার করতে চাইলে সে অন্যত্র পালিয়ে যায়। দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে মেয়েটিকে নিয়ে সে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী রফিকুল ইসলামের কাছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সম্পর্কে জানতে কৌতুহলী জাগায় সে বলে আমি তাকে বিয়ে করেছি। তৎকালীন এলাকাবাসীর চাপে পড়ে সে কাবিননামা দেখাতে পারেনি। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর ইতালি থেকে এসে সে তার নাতনির বয়সী স্ত্রীকে রাখার জন্য আপন চাচাতো ভাই জায়গার প্রকৃত মালিক আলম হাওলাদারকে অনুরোধ জানান। আলম হাওলাদার সরল মনে তার ছোট চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলামকে তার নিজের বসত বাড়িতে থাকার জন্য জায়গা করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, জায়গার প্রকৃত মালিক আলম হাওলাদার বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে, আমার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম হাওলাদার জায়গার মালিক নয়। সে বিপদে পড়ে আমাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানান। কিন্তু ছোট ভাইয়ের কাকুতি মিনতি সহ্য করতে না পেরে আমি তাকে আমার বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দেই। সেই সুবাদে সে আমাকে কেয়ারটেকার বানিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মিথ্যা মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক
আলাউদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়ে দেখি রফিকুল ইসলাম হাওলাদার তার দ্বিতীয় তলায় টাইলসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে (রফিকুল ইসলাম হাওলাদার) বলেন, জায়গার মালিক আমি নই। আমার চাচাতো ভাই আলম হাওলাদার জায়গার প্রকৃত মালিক। বাউফল থানা পুলিশ আরো বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে।