ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গীতগুরু (বড় ভাই), উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমি সঙ্গীত ‘মলয়া’র সুরকার ফকির তাপস আপ্তাব উদ্দিন খাঁর ৯১তম ওরশ মোবারকে এ বছর মানুষের ঢল নেমেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে আপ্তাব উদ্দিনের মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দু’দিন ব্যাপী এই ওরশ মোবারকের সমাপনী রাতে শনিবার সারারাত ব্যাপী বাউল গানের আসরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেয়।
বিশাল আয়োজনের সমাপনী রাতের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফকির আপ্তাব উদ্দিন খাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ও মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটঘর মহেশ ভট্টাচার্য কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় সাংসদের ছোটভাই, শিক্ষানুরাগী মুনতাসির মহিউদ্দিন অপু। এতে উদ্বোধক ছিলেন নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম।
মাজার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহাম্মদ খাঁ ও সাংবাদিক জুয়েল রানার উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় ফকির আপ্তাব উদ্দিন খাঁর জীবন ও সাধনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ওসি মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, শিবপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন সরকার, সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু প্রমুখ। এসময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক রফিক সোলায়মান, বিশিষ্ট নজরুল ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী করিম হাসান খান, ওস্তাদ পরিবারের বংশধর মোহাম্মদ হোসেন খান, মাছরাঙা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নবীনগরের সন্তান শাহ আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দেশের বিশিষ্ট সেতার শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম খান তানসেন।
বক্তারা দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পরও বিশ্বখ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্তিন খাঁর এই সঙ্গীত পরিবারের স্মৃতি সংরক্ষণসহ ওস্তাদ পরিবারের নামে একটি মিউজিক্যাল মিউজিয়াম (সঙ্গীতের যাদুঘর) স্থাপিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে সারারাতব্যাপী অনুষ্ঠিত বাউল গানের আসরে দেশের বিশিষ্ট বাউল শিল্পী আরিফ দেওয়ান ও বাবলী সরকার সঙ্গীত পরিবেশন করে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দকে মাতিয়ে রাখেন।