সোমবার, ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফটিকছড়িতে পাশের হারে এগিয়ে মাদ্রাসা

কামরুল হাসান, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে পাসের হারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। উপজেলার ১০টি কলেজের পাসের হার যেখানে ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ সেখানে ৮টি মাদ্রাসা পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

মঙ্গলবার প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, উপজেলার ১০ টি কলেজের ১ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৬০ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন। শতকরা পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩।

মাদ্রাসা বোর্ডে ২৭১ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। শতকরা পাসের হার ৯২দশমিক ৯৯ শতভাগ পাস করেছে ৪টি মাদ্রাসা।

মাদ্রাসা ৪টি হলো- শামসুল উলুম গাউছিয়া ছুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, নানুপুর মাজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা,নানুপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসাই গউসুল আলম মাইজভান্ডারি।

শামসুল উলুম গাউছিয়া ছুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ১১ জনের মধ্যে ১১ জনই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। নানুপুর মাজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় ৩১ জনের মধ্যে ৩১ জনই পাশ করেছে। নানুপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসায় ২৬ জনের এবং মাদ্রাসাই গউসুল আলম মাইজভান্ডারিতে ২১ জনের মধ্যে ২১ জনই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।

সর্বোচ্চ ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে জামিয়া মিল্লিয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসায়। এই মাদ্রাসায় ৫৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৪ জন,পাশের হার ৯৩ দশমিক ১০ শতাংশ । এছাড়া সমিতিরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৩ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২ জন। পাশের হার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। নারায়ণহাট ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা ৫২ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫১ জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। ফটিকছড়ি জামিউল উলুম ডিগ্রি মাদ্রাসা ৬৯ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৬ জন। পাশের হার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এদিকে ৮টি কলেজের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব ধলই খাজিদা মালেক স্কুল এন্ড কলেজ। কলেজটিতে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫ জন। পাশের হার ৭৬.০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ নিয়ে এগিয়ে আছে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ। কলেজটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন জন।

ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ পরীক্ষার্থী ছিল ৬৮৫ জন,পাশ করেছে ৪১৪ জন,পাশের হার ৬০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। নারায়ণ হাট আদর্শ কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল ১৭৮ জন, পাশ করেছে ১০২ জন। পাশের হার ৫৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ইছাপুর বি. এম. সি. কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪৯ জন, পাশ করেছে ৬৬ জন, পাশের হার ৪৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৭ জন, পাশ করেছে ১৩ জন, পাশের হার ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

নানুপুর লায়লা কবির কলেজ পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩৯ জন, পাশ করেছে ২৬২ জন। পাশের হার ৪৮.৬১ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৬ জন। ভুজপুর ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল ৭২ জন পাশ করেছে ৪৪ জন, পাশের হার ৬১ দশমিক ১১ শতাংশ। হেঁয়াকো বনানী কলেজ পরীক্ষার্থী ছিল ২০৯ জন, পাশ করেছে ৯৬ জন। পাশের হার ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পরীক্ষার্থী ছিল ৫৬ জন, পাশ করেছে ১৩ জন। পাশের হার ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ।

ফলাফলের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা বলেন, মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল সন্তোষজনক। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল হতাশাজনক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *