রবিবার, ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ফরিদপুরে আ.লীগ দোসরের দখলে রাখা জমি দখল উদ্ধার করলেন প্রশাসন

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার পূর্ব কাফুড়া গ্রামের মৃত্যু শেখ হাতেম সহ তার ছেলে শেখ শহীদ এর কবল থেকে দীর্ঘ ৩৭ পর অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা জমি উদ্ধার করে আসল মালিকে ফিরিয়ে দিলেন কোর্টসহ প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সরকারি ভূমি কমিশনার, সার্বয়ার সহ আইন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জমি ফিরে পাই ভুক্তভুগী পরিবার

সরেজমিনে দেখাযায় একই গ্রামের মৃত শেখ আরশাদ এর জমি অবৈধ ভাবে,জোড় করে দীর্ঘ ২৬ বছর দখল করে রেখে ছিল ফরিদপুর জেলার সাবেক শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জুলাই আগষ্টের এর হত্যা মামলার আসামী দুর্নীতিবাজ,দখলবাজ ঈমান আলী মোল্লার দোসর একই গ্রামের মৃত শেখ হাতেম সহ তার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা শেখ শহীদ। ১৯৯০ সনে শেখ আরশাদ কোর্টে মামলা করে, এবং বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে আইন প্রশাসনের সহায়তায় ৩৭ বছর পরে জমি ফিরে পাই।

সরেজমিনে দেখা যায়,শেখ হাতেম ও তার বড় ছেলে শেখ শহীদ মৃত শেখ আরশাদ এর ৪৮ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে গায়ের জোড়ে, ক্ষমতার দাপটে দখল করে ভোগ দখল করতে থাকে। শেখ আরশাদ এর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করলে কোর্ট সহ আইন প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় ৩৮ শতাংশ জমি দখল ফিরে পাই।তবে বাকি ১০ শতাংশ জমি দলিল পত্র ছাড়া এলাকার প্রভাব বিস্তার করে বর্তমান দখল করে রেখেছে শেখ শহীদ।

স্থানীয় এলাকার বাসীর অনুরোধে ১০ শতাংশ জমির বিষয়ে সাত দিনের সময় নিয়েছে শেখ শহীদ।এবং এলাকাবাসী উপস্থিততে সাত দিনের মধ্যে ১০ শতাংশ জমির সমাধান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ শহীদ সহ এলাকাবাসী।

এর আগে শেখ আরশাদ এর পরিবারের লোকজন জমি ফেরত চাইলে শহীদ বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় এবং নানা ভাবে ভয়ভীতি সহ হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এই বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় শেখ আরশাদ এর পরিবারেরর লোকজন আইনের আশ্রায় নিলে বিষয়টি একটু স্বাভাবিক থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায় মৃত হাতেমের বড় ছেলে শেখ শহীদ ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ৪র্থ শ্রেনী একজন কর্মচারি। আওয়ামী লীগের নেতা ঈমান আলীর মোল্লার ছত্রছায়ায় থেকে অবৈধ উপায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তরিত হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে একাধিক বার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার অপকর্ম প্রকাশ হলেও আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় থাকার কারণে নানা ভাবে পার পেয়ে গিয়েছে। একজন ৪র্থ শ্রেনী কর্মচারী হয়ে কি ভাবে কোটি টাকার মালিক হয় প্রশ্ন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের।

অনুসন্ধান দেখা যায়,ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ বছর আগে পিয়ন পোষ্টে চাকুরি হয় শেখ শহীদের। অথচ তিনি ২৪ বছর ধরে ডিউটি করে থাকেন হাসপাতালের মধ্যে। নেই কোন তার বদলি

অভিযোগ আছে,দুর দুরান্ত থেকে আসা রোগী সহ তাদের অভিভাবকদের কাছে তিনি নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।এবং তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে থাকেন মোটা অংকের অর্থ।

হাসপাতালের ভিতরে বাইরে রয়েছে তার একাধিক দালাল চক্র। হাসপাতালের মধ্যে থাকা ট্রমা সেন্টারে রয়েছে তার নিজের চেম্বার সহ রোগী দেখার স্থান।

বিগত দিনে হাসপাতালটিতে পদ্ধা কেলেংকারীর দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাই। এবং এর মূল হতো আবজাল রুনির নাম দেশ বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই আফজাল রুনির সহচর সহ সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন এই শহীদ।

হাসপাতালের ভিতরে ওষুধ চুরি,আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগ বানিজ্য,দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণ সহ টেন্ডারবাজি জড়িত এই শহীদ।

স্থানীয়ও বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেও কোন সু- ফল পায় না। উল্টো তাদেরকে পরতে হয় নানা বিপদে মূখে।

হাসপাতালটিতে আতঙ্কের আর এক নাম পিয়ন থেকে ডাঃ শহীদ। তার নিজ এলাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তিনি ডাক্তার শহীদ নামে পরিচিত পিয়ন শহীদ বা শহীদ নামে কেউ তাকে চিনেনা। জনসাধারণের প্রশ্ন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা খচর করে ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি পরিয়ে লাভ কি যদি পিয়ন ডাক্তার হয়।এবং রোগীকে অপারেশন সহ বিভিন্ন চিকিৎসা করে। অভিযোগ আছে হাসপাতালের কৃতপক্ষ শহীদের কৃতকর্মের তথ্য জানা থাকা সত্যও তারা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অবৈধ টাকার গরমে আওয়ামী লীগ নেতা ছত্র ছায়ায় থেকে মানুষকে কখনো মানুষ মনে করে পথ চলতো না। বর্তমানও তিনি সেই আগের মতেই মেডিকেল সহ বিভিন্ন জায়গায় রাজত্ব করে চলছে। সাধারণ সহ সমাজের সচেতন মহলের দাবি দুদকে অনুসন্ধান করলে বা আইনের আওতায় আনা হলে অনেক গোপন তথ্য সহ ধন সম্পত্তির আয়ের উৎস কি বের হয়ে আসবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ