
মো. মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফরিদপুরের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে বুধবার ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকল্পের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার ঈশ্বরদীর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর ডাল গবেষণা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম মাহাবুবুল আলম। ফরিদপুর বিএডিসির মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান ও ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন।
সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওই অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ।
মাঠ দিবসে দুই শতাধিক কৃষাণ-কিষাণী অংশগ্রহণ করেন। এ বছর তাম্বুলখানা গ্রামে বারি মুগ-৬ ও বারি মুগ-৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এই জাত দুটি উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষের পাশাপাশি এর আবাদে আগ্রহী হচ্ছে। এ বছর তাম্বুলখানা গ্রামে ৪ একরের বেশি জমিতে মুগ ডাল আবাদ করেছে কৃষকরা।
অতিথিরা কৃষকদের সাথে বারি মুগ-৬ ও বারি মুগ-৮ এর উৎপাদন কার্যক্রমের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবাই বারি উদ্ভাবিত আধুনিক মুগ ডাল জাতসমূহ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, এ সময় ফরিদপুরের কৃষকরা সাধারণত পাট আবাদ করে থাকে। পাট (বৃষ্টি/পানি) নির্ভরশীল হওয়ায় এর চাষে খরচ বেশি। এবছর যথেষ্ট বৃষ্টি হয়নি ফলে ফরিদপুর সহ সারা দেশের কৃষকদের পাট জাগ দিতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই কৃষক যদি তার অর্ধেক জমিতে পাট এবং অর্ধেক জমিতে মুগ আবাদ করে তাহলে কৃষকের পাট জাত দিতে সমস্যা হবে না এবং মুখ একটি অর্থকারী ফসল হওয়ায় কৃষক অধিক লাভবান হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফরিদপুরে মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। মুগ ডাল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ডালজাতীয় ফসল এবং মুগের দামও বেশ ভালো। বারি মুগ-৬ প্রতিমণ মুগ ডাল ৩ হাজার ৮০০ হাজার টাকায় ও বারি মুগ-৮ ডাল ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবাইকে বারি উদ্ভাবিত অন্যান্য নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহণ করে কৃষির উৎপাদনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে অনুরোধ করেন ড. সেলিম আহম্মেদ।